মশা নিয়ন্ত্রণে ঢাকার দুই নগর কর্তৃপক্ষ এ পর্যন্ত অনেক প্রতিশ্রুতিই দিয়েছে। বাস্তবতা হচ্ছে মশার উৎপাত সহনীয় পর্যায়েও আনা যায়নি, বরং বেড়েছে। এর উপদ্রব থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার মানুষ।
সিটি করপোরেশন যে মশক নিধনে কোনো কাজ করছে না তা নয়। সমস্যা হচ্ছে তাদের কাজের সুফল মিলছে না। নিয়মিত পরিষ্কার না করায় রাজধানীর জলাশয়গুলো বর্জ্যরে ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। এসব জলাশয় হয়ে উঠেছে মশার প্রজনন স্থল। মাঝে মধ্যে জলাশয়, ডোবা, পুকুরের জলজ আগাছা ও কচুরিপানা পরিষ্কার করা হয়। তবে এটা অব্যাহত রাখা ও জোরদার নজরদারি চালানো জরুরি। মশার শূককীট নিধনে বেশি নজর দিতে হবে। যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে মশা মারার ওষুধ ছিটাতে হবে। আর ওষুধ ব্যবহারের আগে অবশ্যই এর গুণগতমান নিশ্চিত করতে হবে। ওষুধের মান নিয়ে যেন কোনো প্রশ্ন না ওঠে।
এডিস মশার প্রজননের দায় নাগরিকদের ওপর চাপানোর চেষ্টা করা হয়। এতে হয়তো নাগরিকদের দায় রয়েছেও। তবে কিউলেক্স মশার প্রজননের দায় সিটি করপোরেশনকেই নিতে হবে। যেকোন মূল্যে মশা নিয়ন্ত্রণ করে নগরজীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে হবে।
২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশে করোনায় মারা গেছে ৫০০২ জন।