রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর করার প্রক্রিয়াকে সঠিক সিদ্ধান্ত আখ্যায়িত করে দেশের অভিবাসন ও পরিবেশক বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বিদেশি সংস্থাগুলোর উচিত মায়ানমার যেন অল্প সময়ের মধ্যে রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয় সে ব্যবস্থা করা। আর ভাসানচর যেহেতু একটি দ্বীপ, সে কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিষয়ে সরকারের উচিত সেখানে বিশেষভাবে নজর রাখা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক প্রফেসর ড. দেলোয়ার হোসেন সংবাদকে বলেন, ‘ভাসানচরের প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে বিদেশি সংস্থাগুলো ভালোভাবে অবগত। সেখানে তাদের বসবাসের জন্য ভালো ব্যবস্থা থাকলেও তাদের সেখানে না পাঠানোর কোন যৌক্তিক কারণ নেই। তারপরও ভাসানচরে রোহিঙ্গদের পাঠাতে তাদের বিরোধিতার কারণ হতে পারে মূল ভূখণ্ড হতে তাদের দূরে চলে যাওয়ার কারণে বিদেশি সংস্থাগুলোর পক্ষে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা কষ্টকর হবে। এছাড়া বিদেশিরা চান তাদের রোহিঙ্গা সমস্যায় আরও ভালোভাবে যুক্ত করা হোক।’
রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে তাদের নিজস্ব রাজনীতিও আছে- মন্তব্য করে প্রফেসর দেলোয়ার হোসেন আরও বলেন, ‘কারণ ২০১৫ সালে রোহিঙ্গারা এ দশে আসলে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের প্রতি মানবিক আচরণ করেছেন। তাদের খাওয়া, পরার ব্যাবস্থা করেছেন। জাতিসংঘ ও অন্য সংস্থাগুলো এ ব্যাপারে আমাদের সহযোগিতা করলেও মায়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনের ব্যাপারে দেশটির ওপর যথেষ্ট কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টি করেনি।’
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের হেড শরিফুল হাসান সংবাদকে বলেন, ‘ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য সরকারের করা আবাসন প্রকল্পকে বিদেশিদের ইতিবাচক দৃষ্টিকোন থেকে দেখতে হবে। কারণ, বিদেশি সংস্থাগুলো রোহিঙ্গদের জন্য কিছু অর্থ দিলেও তাদের একজনকেও বাংলাদেশ থেকে নিয়ে যায়নি। বিদেশি সংস্থাগুলোর উচিত মায়ানমার যেন অল্প সময়ের মধ্যে রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয় সে ব্যবস্থা করা।’
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) শরীফ জামিল বলেন, ভাসানচরে রোহিঙ্গদের পাঠানোর আগে ওই এলাকা সম্পর্কে একটি ব্যাপক গবেষণা করা উচিত ছিল। উপকূলভিত্তিক সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়ন করার আগে ওই দ্বীপাঞ্চলের ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান, সুযোগ-সুবিধা, জীবিকা সংস্থানের ব্যবস্থা, পরিবেশগত অবস্থা, রোহিঙ্গাদের রাজনৈতিক ও আর্থ-সামাজিক অবস্থার ব্যাপারে ব্যাপক অনুসন্ধানের ব্যবস্থা করা উচিত ছিল। আগে রোহিঙ্গারা পাহাড়ে ছিল এখন তাদের সাগরের দ্বীপাঞ্চলে পাঠানো হচ্ছে। ওই স্থানে গিয়ে আগামী দিনে তারা নৈরাজ্য সৃষ্টি করবে কিনা, সন্ত্রাসের সঙ্গে যুক্ত হবে কিনা, জলদস্যুতার সঙ্গে তাদের যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা কেমন এসব বিষয় নিয়ে ভাবার দরকার ছিল। এছাড়া দ্বীপাঞ্চলটি ডুবে যাওয়ার সম্ভাবনাও চিন্তা করা দরকার ছিল। আমাদের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্বার্থেই এ ব্যাপারগুলো ভাবা উচিত।’
অভিবাসন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. সিআর আবরার সংবাদকে বলেন, ‘ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের পাঠাতে শুধু বিদেশি সংস্থাগুলোর আপত্তি নয়, অনেক সুশীল সমাজের সদস্যদেরও আপত্তি আছে। রোহিঙ্গাদের দ্বীপাঞ্চলে পাঠানোর স্বচ্ছতার ব্যাপারটি নিশ্চিত করা উচিত ছিল। ওই অঞ্চলটি বিশ বছর আগেও পানির নিচে ছিল। সাধারণ জেলেরাও সেখানে থাকার সাহস করত না। এখন ভবিষ্যতে ওই এলাকা আবার প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে পড়বে কিনা সে ব্যাপারটা চিন্তা করা উচিত ছিল। বাংলাদেশ এমনিতেই প্রাকৃতিক দুর্যোগকবলিত স্থান। এখন সাগরের মধ্যে অবস্থিত ওই দ্বীপে ঘূর্ণিঝড়, সাইক্লোন, ভূমিকম্প বা সুনামি হলে কি হবে? তা যাচাই-বাছাই না করে রোহিঙ্গাদের ওখানে পাঠানো ঠিক মনে হচ্ছে না। রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন বিদেশি সংস্থার অর্থায়নে ভরণ-পোষণ করা হতো। এখন দেখতে হবে ওই অঞ্চলে তাদের অণ্ণসংস্থানের ব্যবস্থা আছে কিনা। আর সরকার তাদের মৌলিক প্রয়োজন মিটানোর দায় কতদিন পর্যন্ত নিবে? আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে ওই দ্বীপের ব্যাপারে সব তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সরকারকে স্বচ্ছতার ব্যাপারটা নিশ্চিত করা উচিত ছিল। মনে রাখতে হবে আমরা ওখানে মানুষ পাঠাচ্ছি কোন জড়বস্তুকে পাঠাচ্ছি না।’
মামলা হচ্ছে ফুটেজ দেখে জড়িতদের চিহ্নিত করা হবে ভাস্কর্য ভাঙার নিন্দা ও বিক্ষোভ
ভাস্কর্য অপসারণের দাবি নিয়ে ইসলামী সংগঠনের নেতাদের আন্দোলনে যখন দেশে অস্থিতিশীল অবস্থা
ভাসানচরে পৌঁছে
কক্সবাজারের আশ্রয় শিবিরে ছাপড়া ঘর, অস্বাস্থ্যকর ও অনিরাপদ পরিবেশ থেকে ভাসানচরের পরিকল্পিত
সাদেকুর রহমান
১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর ছিল সোমবার। এ দিনটি ছিল স্বাধীনতাকামী বাঙালির জন্য
ফিরে দেখা একাত্তর
বিমল পাল
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় মাকে মামার বাড়ির কথা বলে গিয়েছিলাম যুদ্ধের প্রশিক্ষণ
ভাস্কর্য অপসারণ ইস্যুকে কেন্দ্র করে দেশে জঙ্গিবাদ বিস্তার ঘটার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে পাঠানোর পরিস্থিতি জাতিসংঘ পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত জাতিসংঘের
আজ ৬ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক যশোর মুক্ত দিবস। যশোরই দেশের প্রথম শত্রুমুক্ত জেলা।
কুষ্টিয়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ
সংক্রমণের ৯ মাস পর
দেশে করোনা সংক্রমণের প্রায় ৯ মাস পর ১০ জেলায় শুরু হয়েছে করোনার
মস্কোয় সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকা নাগরিকদের কোভিড-১৯ টিকা দেয়ার কর্মসূচি শুরু করেছে
দেশে করোনায়
দেশে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৫ জন মারা গেছেন এবং নতুন
ডেঙ্গু আক্রান্ত বাড়ছেই
করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যেই প্রতিদিন অনেক মানুষ ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন। গত ২৪ ঘণ্টায়