অলোকরঞ্জন দাশগুপ্তর কবিতা
শিরোধার্য
এখন আমায় তরুণতর সতীর্থেরা বলে
অলোকদা, আপনি আমাদের
মাথার ওপর আছেন।
ভাবি আমি কি তবে তাদের
জরাজীর্ণ আচ্ছাদন ছলে ও কৌশলে?
নাকি আমার মাথার উপর সিল্কের সুতোয়
খড়্গ ঝুলছে, যে-কোনো মুহূর্তে
নেমে আসবে ছুতো পেলেই ঘুরতে ঘুরতে ঘুরতে...
ঝুলছে ঝুলুক, মাথাটা খুব রেখেছি সাবধানে,
কারণ আমার শিরোশ্ছেদের মানে
আমার যেজন পরবর্তী উত্তরজাতক
তাকেই কিনা হতে হবে সমাপন মৃত্যুর পাচিলে
আমার চুলে শাদা কাশফুল, আকাশটা খুব নীল
সাইবিতা : প্রেক্ষাপট
সাইফুল্লাহ আল মামুন
মুখে ময়লা রেখে
কী হবে আয়না মুছে
কী জানি, কী বুঝে
মন মাঝে মাঝে
কান্নাহাসির দোলানা খুঁজে
চলতে পথে হঠাৎ হোঁচট
এ কেমন খেলা বদলে যাবার দৃশ্যপট।
ইচ্ছেকথার পুরনো ইতিহাস ভবিষ্যতের নিকট
মুহূর্তে মুহূর্তে পাল্টে যায় চেনা প্রেক্ষাপট।
অপেক্ষা
মীনা গুহ
এক পা এক পা করে এগোচ্ছে মৃত্যু
আমি শূন্যতাকে বুকে নিলাম
যা ছিলো সব অকাতরে দান করেছি
স্তূপ-করা অর্থ আজ অনর্থের মূল কারণ
ক্ষতিগ্রস্ত হৃৎপিণ্ডটাকে গামছা মুড়ি দিয়ে
বুড়িগঙ্গায় ডুবিয়ে আমার শেষ ইচ্ছা পূরণ করবো।
এক পা এক পা করে এগোচ্ছে মৃত্যু
আমার সীমানা স্পর্শ করার আগেই আমি হুইসেল দিলাম
আগে পাপ নামাও মাথা থেকে
হৃৎপিণ্ড বাতাস বাতাস বলে চিৎকার দিলো
আমি বুঝলাম এখানে জলের কুয়ো ফুটো
বাতাস আজ বাক্সবন্দি
আমাকে ছুটি নিতে হবে এক পা এক পা করে...
কিছুই বুঝলাম না
কী এক দমকা বাতাসে আমি ভেসে যাচ্ছি দূরে।
পিতার মৃত্যু
সুমন শামস
স্বদেশের মৃত্যু হলে পিতার জন্ম হয়।
পক্ষান্তরে পিতার মৃত্যু হলে
মরে যায় স্বাধীনতা ও স্বদেশ।
পিতার জন্মমৃত্যু এভাবেই গড়েছে ভেঙেছে
আমার সবটুকু ভিটা।
আমি তার চোখে দেখেছি
ছাই রং হাহাকারে তাকিয়ে থাকা সবুজের মোহ।
স্বদেশ মরে গেলে মানুষ বেঁচে থাকে
পরাধীন কিছু দৃষ্টি ও মুখচ্ছবি নিয়ে।
যেহেতু পিতাই স্বদেশ।
আমার পিতার মৃত্যু বলে দিয়েছে
আমাদের জনক হবার বিপন্ন সত্যকে।
আহা, জনক মরে গেলে সন্তান স্বদেশহারা হয়!
হায়, স্বদেশ ঘুমিয়ে গেলে জাতি পিতৃহারা হয়ে রয়!
ঝরাপাতার গল্প
ফয়সল আহমেদ
উড়ো চিঠি দিলাম তোমার নামে
পৃথিবীর আকাশে উড়ে অনন্ত সন্ধ্যা।
কৃষ্ণচূড়া পাতাগুলো ঝরে পড়ে
ধুলোপড়া বুক
ডানা মেলে আগুন পাখি।
চুপিসারে হেঁটে আসে জোৎস্নারাত
ঘ্রাণেন্দ্রিয় জেগে ওঠে নিশিন্ধার গন্ধে।
শিমুলের ডালে লক্ষ্মীজোড়া
ভালোবাসার আবেশে অকালও বসন্ত হয়।
খুলে যায় পাথর চাপা বিনয়ী প্রেম
হেঁটে আসে না মানা শত বারণ।
দিনগুলো গল্প করে ঈশা খাঁর
ফিরোজ প্রেমের ভালোবাসার সমাধি
তাজপুর ভেসে বেড়ায় মেহেদীর গন্ধ
প্রেম কাঁদে সখিনার- হায় প্রেম।
অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত
ওবায়েদ আকাশ
তীব্রভাবে সমালোচিত ও তীব্রভাবে গ্রহণযোগ্য চিলের কবি নিকানোর পাররার কেন বলেছিলেন যে,
ধ্রুপদী স্রষ্টা
হিন্দোল ভট্টাচার্য
অচেনা নম্বর থেকে ফোন এল যখন তখন সকাল বেলা সাড়ে ১১টা। ফোন
অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত
উদয় শংকর দুর্জয়
এক বেশ্যা অনায়াসে ভিতরমদিরে ঢুকে যায় বুদ্ধ মন্দিরেরে দরজা বন্ধ হয়ে গেল এক
নাসরীন জাহান
পুরো যুদ্ধের সময়টাই বলা যায় আমার স্বপ্নে বাস্তব ঘোর লড়াইয়ে কেটেছে। যেখানে বেশিরভাগ সময় বাস্তব জয়ী হয়েছে। মনে পড়ে, যুদ্ধ শুরুর দুমাস পর এক মিশনে
সানজিদা হক মিশু
সৈয়দ শামসুল হক (১৯৩৫-২০১৬) বাংলা নাট্যসাহিত্যের কিংবদন্তি। তাঁর ৮৫ তম জন্মক্ষণে সংক্ষিপ্ত
শাশ্বত নিপ্পন
বুকের বাঁ পাশটায় একটা অস্বস্তিকর ব্যথা নিয়ে আনিস ওজুতে বসে। দু’ঠোঁটের মাঝে
গ্রাম-গ্রামান্তরে
রুকুনউদ্দৌলাহ
দেশের অনেক কিছুতে যশোর প্রথম হওয়ার গৌরবের অধিকারী। যুক্ত বাংলার প্রথম জেলা