ফারুক ইকবাল
অধ্যাপক আনিসুজ্জামান প্রয়াত হয়েছেন এ বছরের ১৪ মে। কালি ও কলম এই করোনা দুর্যোগের মধ্যেও প্রকাশ করেছে ‘আনিসুজ্জামান শ্রদ্ধাঞ্জলি’ সংখ্যা। বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের প্রথিতযশা লেখকদের লেখায় সমৃদ্ধ প্রকাশনাটির মধ্যে সম্পাদকের বিশেষ যতœ এবং নিষ্ঠার ছাপ সহজেই পাঠকের নজর কাড়বে।
সংকলনটির সূচনা পশ্চিমবঙ্গের বর্ষীয়ান কবি অলোকরঞ্জন দাশগুপ্তের ‘মহাপ্রস্থান’ কবিতা দিয়ে। সম্পাদক সংকলনের সমাপ্তি টেনেছেন বর্তমান প্রজন্মের লেখক পশ্চিমবঙ্গের অহনা পাণ্ডার লেখা দিয়ে। তরুণ এই লেখক তার ডক্টরাল গবেষণার জন্য বাংলাদেশে এসেছিলেন, অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের সঙ্গে কাজ করেছেন।
‘আনিসুজ্জামান শ্রদ্ধাঞ্জলি’ সংখ্যায় লিখেছেন তাঁর কয়েকজন বন্ধু যাদেরকে তিনি আজীবন তাঁর সমাজ ও সংস্কৃতি বোধ, চিন্তা এবং বিশাল কর্মকাণ্ডে সাথী হিসেবে পেয়েছেন, সহযাত্রী হিসেবে সাথে চলেছেন।
লিখেছেন তাঁর পরবর্তী প্রজন্মের অনেকেই যারা তাঁর ছাত্র ছিলেন। তঁর চিন্তা ও কাজে যারা সারাজীবন অনুপ্রাণিত থেকেছেন।
আরো লিখেছেন সেইসব মানুষেরা যারা তাদের চিন্তায়, চেতনায় অধ্যাপক আনিসুজ্জামানকে ধারণ করেন, তাঁর পতাকা বহন করে চলেছেন তাদের চেতনা এবং কর্মকা-ে।
বলা যায়, কালি ও কলমের প্রকাশনাটি শুধুমাত্র অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নয়, প্রকৃতপক্ষে সংকলনটি দেশ, সমাজ ও সংস্কৃতির ক্রমবর্ধমান ইতিহাসের প্রতিচ্ছবি। যার কেন্দ্রে রয়েছেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।
অহনা পাণ্ডা যেমনটি তাঁর লেখায় লিখেছেন, ‘বাংলা সাহিত্য ও ভাষার ইতিহাস রাষ্ট্রের ইতিহাসের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থেকেও কোনো রাষ্ট্র সীমান্ত দ্বারা বদ্ধ নয়। সাহিত্য সীমান্ত নয়, দিগন্ত। আনিসুজ্জামানের দীর্য় কর্মজীবন এবং পুস্তকসমূহে তিনি আমাদের এই চরম শিক্ষা দিয়েছেন।... তবে বাংলাদেশে পৌঁছেই আমি প্রথম বুঝি যে, তিনি ফেলে-আসা যুগের ইতিবৃত্তকারই শুধু নন, বাংলার বিংশ শতাব্দির যুগপুরুষও বটে।’
আমাদের প্রত্যাশা এই সংকলনটি শুধু তাৎক্ষণিক পাঠের জন্যই নয়, বরং বাংলা ভাষা, সাহিত্য এবং সংস্কৃতি সম্পর্কে যারা সম্যক ধারণা পেতে আগ্রহী তাদের জন্য একটি পথপ্রদর্শক।
বিনাশের শব্দগুলো এখন ভাঙছে খেলা করছে কুলুপ লাগিয়ে ঠোঁটে মাদারীর খেল দেখছি নাগরিক ঔদাস্যে মনুষ্যত্বহীনতায় বন্ধ হয়ে যায় সকল দরোজা
অঞ্জনা দত্ত
’৫২-এর ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হয়ে ওঠার কাহিনি বলার আগে ভাষা
আব্দুল মান্নান খান
কাটাচ্ছি করোনাকালের ঘরবন্দি জীবন। পার করাও বড় কঠিন হয়ে উঠছে দিন দিন।
ডোরিস লেসিংয়ের গল্প
অনুবাদ : কামরুল ইসলাম
সেবারের শীতের সময়টা প্রায় রাতেই সে অন্ধকারে সাড়ে চারটা! সাড়ে চারটা! বলে
বাদল বিহারী চক্রবর্তী
বিশ শতকের গোড়ার দিকে বাংলা সাহিত্যে যে ক’জন যশস্বী ঔপন্যাসিক ছিলেন, তাঁদের
তুষার তালুকদার
প্রবন্ধের বিষয়টি গুরুগম্ভীর তবে আলেচনাতীত নয়। প্রথমেই মিথলজি প্রসঙ্গে বলি। তারপর যাদুবাস্তবতা।