শিল্পী : মাসুম চিশতি
আমি খুঁজছি
মাহমুদ আল জামান
আমি নিরন্তর খুঁজে চলেছি
সেই মানবীকে
যে মিছিলের মুখ হয়ে উঠেছিল
যে পুরাণকল্পে
কপালে টিপ ও শাড়ি পরিহিতা
যে নিসর্গে হারিয়ে যায় ও জলের নিনাদে
জেগে ওঠে
যে ধ্বনি তোলে মিছিলে
দরোজায়, দরোজায় আর ধ্বংসস্তূপে কড়া নাড়ে
কী এক ছায়ায় অশ্বখুরের শব্দে
দেখি তাকে, রক্তে বাজে প্রাচীন সুরের দুন্দভী
আমি চিনি তাকে
একবার দেখেছি কলকাতার
কার্জন পার্কে
একবার ঢাকার সোনালি রোদ্দুরে
কখনো সে নারী হানা দেয় অন্ধকারে
মৃত্যুকে তুচ্ছ জ্ঞানে
শিশিরসিক্ত মাঠে হেঁটে যায়
এমন মানবী ছিল
এ কথা ভ্রান্তি বলে আজ মনে হয়
আমি নিরন্তর খুঁজে চলেছি
সেই মানবীকে!
ফাগুন হাওয়ার দিন
চঞ্চল শাহরিয়ার
বিরহ যাতনা আমার আসে না বন্ধু
বিরহ আসার আগে চলে আসে তুলি
আসে মোনালিসা, আসে মনামীও
সাথে নিয়ে আসে একঝাঁক হইচই।
বিদেশী চকোলেটের ঘ্রাণ, ছাদে ঘুড়ি ওড়ানোর দিন
অজিত কাকার গল্প, নীল শার্ট এ মাখা ছেলেবেলা
চোখের সামনে মেলে ধরে
মেলে ধরে বই পড়ার দুপুর।
বিরহ আমার আসে না মোটেও
বিরহ আসার আগে ঘুম চলে আসে
চুলে বিলি কেটে দেয় অদিতির বোন
সুখ ছুঁয়ে যায় হলুদ দোতলা বাড়ি।
তুমি কি আমার সঙ্গে দাবা খেলবে?
ফারহানা রহমান
পাথর বাঁধানো পথে
অভয়ারণ্যের সীমানা ছাড়িয়ে বহুদূর চলে গেছে
তুষার ধবল শৃঙ্গ!
এইমাত্র শেষ সিকোয়েন্সে এসে
আটকে গেছে দৃশ্যপট
কী এক ব্যাঙ্গের ইঙ্গিত দিলেন
মহাশয় বার্গমান!
দশ বছরের ধর্মযুদ্ধ শেষে রণক্লান্ত নাইট ব্লকের মুখোমুখি মৃত্যুদূত
এ কী! তার ফ্যাকাসে মুখের হাসি
উজ্জ্বল লুব্ধক চোখ
যেন দীর্ঘ কৃষ্ণ পোশাকের ধূর্তমূর্তি এক!
অতপর মৃত্যু প্রশ্ন করে নাইটকে
‘তুমি কি প্রস্তুত?’
নাইটের উত্তর, আমার দেহ প্রস্তুত হে,
মাহামান্য মৃত্যুবর! কিন্তু আত্মা নয়!
‘তুমি কি আমার সঙ্গে দাবা খেলতে প্রস্তুত?’Ñ নাইট জানতে চায়
মৃত্যু-ব্যঙ্গ হাসে, কিন্তু রাজি হয়
হায় বিধি! দশ বছরের ক্লান্তিকর ধর্মযুদ্ধ শেষে
অগত্যা নাইট চায় কিছুক্ষণ সময় মৃত্যুর কাছে এসে...
জানতে চায়, ঈশ্বর কি সত্যি আছে?
মৃত্যু ভেংচি হাসে, বলে,
‘ঈশ্বর সম্পর্কে উদাসীন আমি আছি
তবু মেয়েদের খুব ভালোবাসি।’
জাহালম একটি দুঃখের গল্প
সাইয়্যিদ মঞ্জু
দায়িকখাম উড়ে আসে কুঁড়েঘরের ঠিকানায়
কোটি কোটি কড়ি তছরুপ-বাদির জবানে
ঘর্মাক্ত শরীরে নির্বাক পাটকল শ্রমিক
গরিবের ঘাড়ে সওয়ার এ কোন রাজকীয় আপদ।
অশ্রু গড়ায় নীরবে ভয়ার্ত প্রেমময় চোখে
দিশাহীন জননী-কাতরায় জীর্ণ বসনে
প্রার্থনার করজোড় নিবেদন দূর আরশ পথে
কোন দায়ে কারাবাসে, সকরুণ স্বর থেমে থেমে যায়
আশাহত নিঃশ্বাসে?
দোষরহিত কণ্ঠে আর্তনাদ আমি জাহালম, সালেক নয়
বধির কর্ণে যায় না কিছু জাহালম-সালেক হয়
ভোগান্তির রূদ্ধশ্বাসে যে চোখ ফোয়ারা
তারে তুমি দিবে কি? তিনটি বছর ঘুরে আসে ইশারায়
স্নেহহীন অবুঝ কন্যা চাঁদনী, কল্পনার মজুরে জীবন
লিখে রাখে এসময়, ধিক হলে এই যে বিচারÑ
অতঃপর জাহালম একটি দুঃখের গল্প।
বিশেষ আয়োজন শিল্পের অন্বেষা
আবু হেনা মোস্তফা এনাম
সত্যজিৎ রায়ের আগন্তুক সিনেমায় শ্রী মনমোহন মিত্র [উৎপল দত্ত] তাঁর সামাজিক ও
সঞ্জয় দে রিপন
কখনো কাগজে কখনো ক্যানভাসে। চিত্রকর্মে বিষয় হিসেবে আসে জীবনকথা, মানুষের কথা, জড়
(পূর্ব প্রকাশের পর) মাহবুব : আপনিই পড়িয়েছিলেন বোধ হয়, ওদের কি যেন একটা
উদ্যত তোমার সঙ্গিনেরা আমাকে হত্যার জন্য উদ্যত করেছো যে মারণাস্ত্র একদিন সে নির্ভুল ঘুরে
এমরান কবির
ঐতিহাসিক উপন্যাস লেখার ঝুঁকি অনেক। কারণ চরিত্রের পাশাপাশি লেখককে সময়ের প্রতি সুবিচার
রেজাউল করিম খোকন
আজ রুমকির জন্মদিন। মেয়ে বড় হয়ে গেছে। সামনেই তার এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট