অভিসন্ধি
পথ ভুলে মেঘ কোত্থেকে এলো ছুটে
অনাবশ্যক বিপুল বৃষ্টিধারায়?
বাঁধ ভেঙে দিলো সবটুকু প্রতিরোধ
গলিত শবের মতোই সে গেলো ভেসে।
জমাট বাঁধেনি আকণ্ঠ অভিমান;
আমরণখেলাÑ যেন হলো অবসান।
মহুয়ার বনে পিপাসিত মৌমাছি
উড়ে উড়ে গেলো করে কতোশত ছল।
গোপনে ভ্রমর করে যায় অভিসন্ধি
মদালস হৃদে অকপটে হয় বন্দি।
চৈতন্যলোকে
দুঃখই যখন আমাদের মহান বৈভব
তাতে হাসির খোরাক মিশলো না হয় একটুখানিক।
জুঁইফুলের বিকশিত শুভ্রসাদা রঙের মতন
কিছু দাঁত বেরিয়ে পড়–ক আর তাদের
অনভ্যস্ত চোখগুলো বিস্ময়ের এই অবকাশেই
একটুখানি ভয় পেয়ে যাক।
অভয়ারণ্য থেকে কানাগলি পার হয়ে যাই
এবং সে-এক বংশীধারী হ্যামিলনের বাঁশি যেন
বেজে ওঠে দুঃখহরণের মোহন সুরে।
ঘুমন্ত চৈতন্যলোকে যাক ভেসে যাক;
এই মোহময় সুরের জাদু বেড়াক ভেসে সমারোহে।
জয়যাত্রা
আমি জানি, মুক্তির লড়াই কী করে হয়?
কী করে আদি থেকে একবিংশর স্রোতে
পরাধীন মানুষের চিৎকার প্রতিধ্বনি জাগায়!
আমি জানি, শেকড়ে-শরীরে কী বিপুল পিপাসার চাবুক
আর ওদের সমস্ত দেহের বাঁকে বাঁকে ও বল্কলে
ক্ষতচিহ্নের প্রত্যক্ষ গ্লানি!
এইসব আমি জানি, নিরন্তর টিকে থাকার লড়াইয়ের গল্প!
চলমান স্রোতোধারার আবহে শানিয়ে রাখে
প্রতিনিয়ত তাদের প্রতিরোধ!
তারই নাম মুক্তিযুদ্ধ, যা আবহমানকাল
ধ্বনি-প্রতিধ্বনি তুলে ডুবে যায় প্রকৃত মানুষের মর্মমাঝে;
গোপন ঢেউয়ের মতো জমে থাকে
তাদের নিভৃত প্রাণের গভীরে!
উদাসীন হাওয়া
যা ছিলো অতল সমুদ্দুরের মতো গভীর তলদেশে লুকনো,
তা উঠে এলো জীবনের এই অপূর্ব অনুভবের মোহন তীরে।
ঝাউবীথির তলায় তোমার দিব্য আসনে বসে দেখো
গাঙচিলের ডানায় এক মোহময় ব্যাকুলতা
ঘিরে রাখে উদাসীন হাওয়ার কাঁপন।
নিবিষ্ট জলের অতলে মৎস্যকুমারের জলক্রীড়া এনে দেয়
মুগ্ধ এক আনন্দ-বৈভবÑ যা ছিলো অযাচিত
অথচ সে ধরা দেয় আপন মহিমায় অতল জলের নিবিড় আহ্বানে।
যে আসে, সাদা ফেনার মুকুট মাথায়
অসম্ভব মাঙ্গলিক ধ্বনি-প্রতিধ্বনির বার্তা নিয়ে
সে আসে তাঁর অন্তর্গত টানে।
অবগুণ্ঠিত
সময়ের চোরাবালি অযথাই ভেংচি কাটে অসভ্য সংকটে!
উদ্গত কান্নার অবিরত ঢেউগুলো
সমুদ্রের গর্জমান উচ্ছ্বাসের তীব্রতায়
উছ্লে পড়ে অশ্রু-নদীতীরে।
অবগুণ্ঠিত বাগানে নিরন্তর কর্ষণে
মাটির বুকে আরব্ধ ফুলেদের
নিঃশব্দ জাগরণ!
সোহাগের অবিরাম সিম্ফনি
বেজে চলে বেহাগের বিপুল গৌরবে!
মামুন হুসাইন
আমাদের জন্মের বছর সুনীল গাঙ্গুলী ঘোষণা করলেনÑ ‘কমলকুমার মজুমদারের অন্তর্জলী যাত্রা এ বছরের সর্বশ্রেষ্ঠ কবিতার বই এবং উপন্যাস
ষাটের দশকে বিচরণ-
মারুফ কামরুল
পঞ্চাশের একটা ছাপ ষাটের দশকে পড়লেও এই দশকের আলাদা বৈশিষ্ট্য দাঁড়িয়েছে; কিছু প্রতিভা উঠে এসেছে। পঞ্চাশ ও ষাটের একটা
আবদুস সাত্তার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরির স্বাভাবিক মেয়াদ শেষ হয়েছে বেশ কয়েক বছর হয়ে গেল। কিন্তু এখনও প্রাচ্যকলা বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের
গৌতম গুহ রায়
পুড়ে যাওয়া বা ছেকা খাওয়া রুটির মতো খসখসে সন্ধ্যার ভেতর চন্দ্রা চোখ
বাণিজ্য নগরীর দিকে গোলাম কিবরিয়া পিনু একটি গাভী, তার বাছুরের সাথে থাকতে পারে
নাজনীন বেগম
বাংলাদেশের শিক্ষা, সাহিত্য এবং সংস্কৃতির প্রগতিশীল বলয়ে অন্যতম বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ড. নীলিমা ইব্রাহিমের পুরো জীবন ছিল সার্বজনীন
আসমা চৌধুরী
ঘরে ঢুকে মিষ্টি একটা গন্ধ পায় শরীফ। রান্নাঘরে ভালোকিছু রান্না করছে সায়মা। মন